ওইসব এলাকায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রবিবার জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েরেছ। পরবর্তি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা এলাকাগুলো হলো- শহরের চেলোপাড়া, নাটাইপাড়া, নারুলী, জলেশ্বরীতলা, সূত্রাপুর, মালতিনগর, ঠনঠনিয়া হাড়িপাড়া ও কলোনী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘রেড জোন’ এলাকায় সকল প্রকার ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং সকল জনসাধারণ আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ আবাসস্থলে অবস্থান করবেন।’
এছাড়া সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ থাকবে। তবে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি গাড়ি জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে চলতে পারবে। সকল প্রকার দোকান মার্কেট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে, বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে ওষুধের দোকান, ইন্টারনেট সেবা ও মোবাইল ব্যাঙ্কিং পরিষেবা এর আওতার বাইরে থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও জরুরি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে খোলা থাকবে। সকল হাসপাতাল চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকিং সেবা এর আওতার বাইরে থাকবে।
বগুড়া জেলায় আন্তউপজেলা যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচল বন্ধ থাকবে জানিয়ে এতে আরও বলা হয়, এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে বের হলে সকলকে আবশ্যিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং যথাযথভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে। এ দুর্যোগকালীন সময়ে প্রকাশ্য স্থানে বা গণজমায়েত করে কোন প্রকার ত্রাণ খাদ্য সামগ্রী বা অন্য কোন পণ্য বিতরণ করা যাবে না।
এর আগে, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছিলেন করোনভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার লাগাম টেনে ধরার লক্ষ্যে সরকার সংক্রমিত অঞ্চলগুলোরে প্রভাব বিবেচনায়- রেড, ইয়েলো এবং গ্রিন- নির্ধারণের পরিকল্পনা করছে। তিনটি আলাদা অঞ্চলে ভাগ করতে এবং নির্বিচারে জোনিং করা এড়ানোর জন্য বিভিন্ন নিয়ামক নির্ধারণ করা হয়েছে।